" বারি - ১১ " জাতের আম বছরে তিনবার ধরে ---- বাংলা সংবাদ


বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ভিন্ন মাত্রার প্রজাতি যোগ করছেন আমের বাগানে। সংস্থাটি দীর্ঘকাল ধরে গবেষণা করে এমন একটি আমের জাত আবিষ্কার করেছে যা বছরে একবার নয়, তিনবার ফল দেয়। এখন সারাবছই বাজারে পাওয়া যাবে আম। আর এমন দিন হয়তো খুব বেশি দূরে নয়। আমের এ জাতটির আবিষ্কার করেছে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পাহাড়তলী উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্র। যার নাম দেওয়া হয়েছে বারি-১১। একে বলা হচ্ছে বারমাসি জাতে আম।

স্থানীয়ভাবে সংগ্রহের পর নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে ২০১৫ সালে এ জাতটি মুক্তায়ন করা হয়েছে। অর্থাৎ এটি সম্পূর্ণ দেশীয় আম হাইব্রিড নয়। এটি প্রাকৃতিকভাবে সংকরায়ণে সৃষ্ট। একটি গাছের আমের আঁটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে যে গাছ হয়েছে তার ফল দেখে বেছে বেছে একটি সেম্পলকে নেওয়া হয়েছে। যেটি কিনা বছরে তিনবার ফল দেয়। আর এ জাতের সৃষ্টি হয়েছে মৌমাছির মাধ্যমে। মধু সংগ্রহের জন্য যখন মৌমাছি কোনো একটি জাতের আমের মুকুলে বসে, তার আগে হয়তো অন্য কোনো জাতের মুকুল থেকেই সে ওঠে আসে। আর এভাবেই পরাগায়নের ফলে এই ধরনের সংকরায়ন ঘটেছে। এ জাতটির এভাবেই সৃষ্টি। যা পাহাড়তলী উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণের পর নিশ্চিত হয়েছে।

বারি-১১ বা বারমাসি এ আমের জাতটি এখন দেশের সব উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রেই চাষ হচ্ছে। বিষয়টি জানালেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হামিম রেজা। তিনি বলেন, এই আমের জাতটি দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দেওয়াই তাদের লক্ষ্য।

উচ্চফলনশীল এ প্রজাতি বছরে তিনবার ফল দেবে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি, এপ্রিল ও জুলাই-আগস্টে এ আম পাওয়া যাবে। এটি খুবই খেতে সুস্বাদু। তবে আঁশ আছে। এটি আকারে লম্বাটে। প্রতিটি আমের গড় ওজন হয় ৩১৭ গ্রাম। কাঁচা আমের ত্বক হালকা সবুজ। আর পাকলে ত্বক হয় হলুদাভ সুবজ। লম্বায় ১১ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ৭ দশমিক ৯ সেন্টিমিটার এবং পুরু ৭ সেন্টিমিটার। আঁটির ওজন ২৫ গ্রাম অর্থাৎ পাতলা আঁটির আমটির ৭৯ ভাগ খাওয়া যায়। মিষ্টতার পরিমাণ ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ টিএসএস।

সূত্র: কৃষি প্রতিদিন

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শিক্ষক ছাত্রী কঠিন প্রেম, এলাকায় তোলপাড়

বাঙ্গালী ডাঃ শিউলি স্বামী ছাড়াই সন্তানের মা হলেন !

চরমোনাই পীরের মুরিদ শিশু ধর্ষণকারী খুনি মোবারক গ্রেফতার