শিক্ষক ছাত্রী কঠিন প্রেম, এলাকায় তোলপাড়

সেন্টমার্টিন দ্বীপে শিক্ষক-ছাত্রীর অসম বাল্য বিয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে তোলপাড় চলছে। এদিকে বাল্য বিয়ে করার অভিযোগে শিক্ষককে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপ সরকারী প্রাইমারী স্কুলে প্যারা-টিচার হিসাবে কর্মরত সাইদুর রহমান। পৈত্রিক নিবাস নেত্রকোনা। বয়স ৪০ এর উপরে। গত প্রায় ৮ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে সেন্টমার্টিন দ্বীপে এসেছিলেন। কিছুদিন ভবঘুরে হিসাবে থাকার পর ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আবদুল আমিনের চা দোকানের কর্মচারী হিসাবে কাজ করেন। এরপর তিনি একটি ছোট্ট একটি দোকান দেন। থাকতেন দ্বীপের জেলা পরিষদ ডাক বাংলোর ছাদে। সেখানে অবস্থান করে বেশ কয়েকজন স্কুল শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতেন। তাদের মধ্যে স্কুল ছাত্রী হাফসা বিবি একজন। হাফসা বিবি সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ডেইলপাড়া হাকিম আলী ও সাইলা বেগমের মেয়ে। এরপর সরকারী প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষক সংকটের সুবাদে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সহায়তায় ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ সরকারী প্রাইমারী স্কুলে প্যারা-টিচার হিসাবে নিয়োগ পান। হাফসা বিবির সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে ৪র্থ শ্রেনীতে পড়া অবস্থায়। স্কুলে প্যারা-টিচারের চাকুরী লাভের সুবাদে প্রেমের সর্ম্পক আরও গভীর হতে থাকে। হাফসা বিবি ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত পিইসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। এরপর সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিএন ইসলামিক হাইস্কুল এন্ড কলেজে ৬ষ্ট শ্রেনীতে ভর্তি হলেও নিয়মিত পড়ালেখা করেনি। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মদের বোতল হাতে নিয়ে মাস্টার সাইদুর রহমানের একক ছবি এবং আপত্তিকর অন্তরঙ্গ বিভিন্ন এ্যাঙ্গেলের যুগল ছবি প্রকাশ পেলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এনিয়ে মুসলেকা দিয়েছিল বলেও জানা যায়। এদিকে গত ১৬ মার্চ রাতে ১৫ লক্ষ টাকা দেনমোহরে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বর্তমানে সেন্টমার্টিন দ্বীপের সরকারী প্রাইমারী স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিক (মঙ্গলবার ২০ মার্চ) রাতে বলেন 'স্কুলের রেকর্ডপত্র অনুসারে হাফসা বিবির জন্ম তারিখ ৫ জুলাই ২০০৪ ইংরেজী। সে হিসাবে ২০ মার্চ তার বয়স হচ্ছে ১৩ বছর ৮ মাস ১৫ দিন। ২০১৫ সালে হাফসা বিবি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। প্যারা-টিচার হিসাবে থাকাবস্থায় আলাপ চারিতায় মাস্টার সাইদুর রহমান বিবাহিত, ২ সন্তানের জনক, স্ত্রী নার্স হিসাবে চাকুরী করেন এবং সন্তানরা প্রাইমারী স্কুলে লেখাপড়া করে বলে জানিয়েছিলেন। বাল্য বিয়ে করার খবর পেয়ে উক্ত শিক্ষককে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে'।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বাঙ্গালী ডাঃ শিউলি স্বামী ছাড়াই সন্তানের মা হলেন !

চরমোনাই পীরের মুরিদ শিশু ধর্ষণকারী খুনি মোবারক গ্রেফতার