কচুরীপানা দিয়ে তৈরী একমাত্র সেতুই শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার পথ

রাসেল হোসেন মুন্না , জীবননগর থেকে : চুয়াডাঙ্গা জীবননগরে দুটি গ্রামের কোমলমতি ছাত্র–ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া একমাত্র উপায় : ভৈরব নদীতে কচুরিপানা দিয়ে বানানো সেতু পার হয়ে । রাসেল হোসেন মুন্না: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর দুটি গ্রামের কোমলমতি ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে ভৈরব নদীর উপরে কচুরিপানা দিয়ে বানানো সেতু পার হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে । জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাস থাকা সত্বেও এখানো তৈরি হয়নি একটি সেতু। ফলে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরেতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে । চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার দক্ষিন দিকে জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের প্রতাপপুরে ও রঘুনন্দনপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জীবননগর পৌর এলাকার আশতলা পাড়ার ভৈরব নদীর পাড়ে অবস্থিত জীবননগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভৈরব নদীর উপর কচুরিপানা দিয়ে বানানো সেতুর উপর দিয়ে হেঁটে পার হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে বাঁকা ইউনিয়নের প্রতাবিপুর ও রঘুনন্দনপু গ্রামের বসবাসরত এলাকাবাসীরা ভৈরব নদীর উপরে কচুরিপানা দিয়ে বানানো সেতু পার হয়ে পৌরসভার আশতলা পাড়া ও বশুতি পাড়া গ্রামে যায় । প্রতাপপুর গ্রামের মনির হোসেন বলেন আমাদের প্রতাপপুর ও রঘুনন্দনপুর এই দুই গ্রামে কোনো প্রাথমীক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় আমরা বাধ্য হয়ে ভৈরব নদীর ওই পারে জীবননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করি। যদি নদী পার হয়ে স্কুলে না যায় তাহলে ছাত্র ছাত্রীদের লক্ষীপুর ব্রীজ পারহয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে যেতে হবে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয়ে আমাদের এই দুই গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে যায়। আর গ্রামের অনেক বাচ্চারাই নদী পার হতে সমস্যা হওয়ায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। জীবননগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান একপ্রকার ক্ষোভ নিয়েই বললেন আপনারা সংবাদ প্রচার করে কি করবেন বলেন। আমরা অনেক কষ্টে আমাদের মাননীয় এমপি মহদের কাছথেকে এই ভৈরব নদীর উপরে একটি ব্রীজের অনুমোদন এনে ছিলাম কিন্তু কোন অদৃশ্য হাতের ক্ষমতায় আমাদের এতো প্রয়োজনীয় ব্রীজটি এখানে না হয়ে জীবননগর মনোহরপুর ইউনিয়নের কালা গ্রামের ভৈরব নদীর উপর হয়ে গেল বুঝতে পারছিনা। তিনি আরো জানান জীবননগর বলেন, আমার বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধেক ছাত্র ছাত্রী নদীর ওই পার থেকে আসে নদী পার হয়ে। যদি ব্রীজটি স্থাপিত হয় তাহলে জীবননগর সরকারি প্রাথমীক বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। প্রতাপপুর গ্রামের সমাজ সেবক রমজান আলী বলেন, গ্রামের মানুষ ও স্কুল কমিটি নিরুপায় হয়ে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ১০ বছর আগে নিজেরা চাঁদা তুলে ৫০ হাজার টাকা ব্যায় করে এখানে একটি সাঁকো নির্মাণ করে। কিন্তু বাঁশ পচে যাওয়ায় সাঁকোটি এখন আর নাই। বাঁকা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান বলেন, ভৈরব নদীর উপর একটি ব্রিজ না থাকার কারনে ইউনিয়নের ২ গ্রামের কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের মুখে পড়ছে। আমি সম্প্রতি ইউপি নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছি এখনো শপথ গ্রহণ করিনি। তবে শপথের পর ইনশাল্লাহ আমি বিষয় টি বিশেষ আমলে নিবো। জীবননগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মোঃ আব্দুল লতিফ অমল বলেন, প্রতাবপুর ও রঘুনন্দনপুর গ্রামের ছাত্র ছাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয়ে স্কুলে যাওয়ার কারণে আমি ইতিমধ্যেই এলজিইডির ব্রীজের পিডির নিকট প্রতাবপুর. ভৈরব নদীর ওপর একটি ১২০ ফুটের ব্রিজ নির্মাণের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে উপজেলা পরিষদ পৌরসভার মধ্যে কোনো কার করার এক্তিয়ার রাখেনা সম্ভবত সেই কারণেই ভৈরব নদীর উপরে ব্রীজ নির্মাণের অনুমতি পেতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে বিষয়টি স্কুল রিলেটেড তাই বিশেষ ভাবে নজর দিচ্ছি এবং খোঁজ নিয়েছি ব্রীজ নির্মাণের অনুমতির কাজগ পত্র প্রক্রিয়াধীন। যাতে খুব তাড়াতাড়ি ব্রীজটি নির্মান করা হয় সে বিষয়ে আমি আমাদের চুয়াডাঙ্গা দুই এর মাননীয় এমপি হাজী মোঃ আলী আজরর টগর সাহেবের সাথে কথা বলবো। রাসেল হোসেন মুন্না জীবননগর, চুয়াডাঙ্গা ০১৭১৯৯১৭৫৮৩ 04,04,18 ইং

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শিক্ষক ছাত্রী কঠিন প্রেম, এলাকায় তোলপাড়

বাঙ্গালী ডাঃ শিউলি স্বামী ছাড়াই সন্তানের মা হলেন !

চরমোনাই পীরের মুরিদ শিশু ধর্ষণকারী খুনি মোবারক গ্রেফতার